রবীন্দ্রনাথের ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর

তাহা ইয়াসিন

রবীন্দ্রনাথের সন্তান হওয়াটা রথীন্দ্রনাথের জন্য সৌভাগ্যের, না দুর্ভাগ্যের তার উত্তর পাওয়া কঠিন। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি অনেক সুবিধা ভোগ করেছেন। আবার একথাও সত্য যে তাঁকে ৭৩ বছরের জীবনের প্রায় ৫৩ বছর জগৎবিখ্যাত পিতার বিশাল ব্যক্তিত্বের চাপ বহন করতে হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের ছাত্রজীবন সুখের ছিল না তাই পুত্রকে প্রথাগত কোনো বিদ্যালয়ে না পাঠিয়ে বাড়িতে শিক্ষাদানে কোনো কার্পণ্য করেননি। শিলাইদহে কয়েকজন শিক্ষক রেখেছিলেন, ইংরেজির ভিত্তি মজবুত করার জন্য লরেন্স নামক একজন ইংরেজকে নিযুক্ত করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথ নিজে রথীন্দ্রনাথকে বাংলা পড়াতেন। এর বাইরে পালি, জার্মান ও সংস্কৃত ভাষা শেখানোর প্রয়াস পেয়েছেন। কুস্তি ও জুজুৎসু শিখেয়েছেন। সাহিত্যবোধ জাগ্রত করার জন্য সহায়তা নিয়েছেন মোহিতচন্দ্র সেন ও সতীশচন্দ্র রায়ের। ভারতবর্ষে সে সময় কৃষিবিজ্ঞানে উচ্চশিক্ষার পথিকৃৎদের একজন রথীন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথ এই শিক্ষাগ্রহণের জন্য তাঁকে পাঠিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যামব্রিজেও গবেষণা করেছেন ২ বছর । পিএইচডি শেষ করার আগে রবীন্দ্রনাথ তাঁকে সাথে নিয়ে আসেন। শেষ করা হয়নি।

১৯১০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রথীন্দ্রনাথকে বিয়ের পিঁড়িতে বসান। পাত্রী ঠাকুর বাড়ির আত্মীয়, গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাগ্নি প্রতিমা দেবী। তিনি ছিলেন বিধবা, রথীন্দ্রনাথের সাথে তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। প্রতিমা দেবীর পূর্বের স্বামী নীলনাথ মুখোপাধ্যায় সাঁতার শিখতে গিয়ে গঙ্গায় ডুবে মারা যান। দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিয়ের আগেই পরলোকগমন করেন বলে বিধবা প্রতীমার সাথে রথীন্দ্রনাথের বিয়ে দেয়া সম্ভব হয়েছিল । কেননা তিনি বিধবার সাথে বিয়ের ঘোরবিরোধী ছিলেন। রথীন্দ্রনাথের বিয়ের সময় রবীন্দ্রনাথই ছিলেন পরিবারের কর্তা। এ কারণে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছিল। রথীন্দ্রনাথ এই বিয়েতে কতটা সন্তুষ্ট ছিলেন সে বিষয় বিয়ের সময় কিছু জানা না গেলেও ৩০ বছর পর রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর বোঝা গিয়েছিল। রবীন্দ্রনাথের জীবৎকালে বড় ধরণের কোনো দাম্পত্যকলহ দেখা দেয়নি। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক শিথিল হতে থাকে। প্রতিমা দেবী সবসময় রথীন্দ্রনাথের প্রতি অনুগত ছিলেন, তবে রথীন্দ্রনাথ তা ছিলেন না।

রথীন্দ্রনাথের বোনদের সংসার সুখের হয়নি, পিতা হিসেবে রবীন্দ্রনাথকে সে বেদনা বইতে হয়েছে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন ছেলের সংসারে না হয়, রবীন্দ্রনাথ সে সম্পর্কে সজাগ ছিলেন। ১৯১০ সালের মে মাসের ২ তারিখ, অর্থাৎ রথীন্দ্রনাথের বিয়ের ৪ মাসের মধ্যে রথীন্দ্রনাথকে লেখা এক চিঠিতে প্রতিমাকে ‘ কেবল গৃহিণী এবং ভোগের সঙ্গিনী ‘ হিসেবে না দেখে তাঁর ‘ চিত্তকে জাগিয়ে তোলার’ জন্য তিনি উপদেশ দেন। লেখেন :
‘ তাকে মানুষ হিসেবে সমগ্রভাবে তোকে দেখতে হবে – কেবল গৃহিণী এবং ভোগের সঙ্গিনীভাবে নয়। ওর মধ্যে যে বিশেষ শক্তি আছে তার কোনোটা যদি অনাদরে নষ্ট হয় তাহলে ওর সমস্ত প্রকৃতিতে তার আঘাত লাগবে – এই কথা স্মরণ করে কেবলমাত্র নিজের রুচি, ইচ্ছা ও প্রয়োজনের দিক থেকে প্রতিমাকে দেখলে হবে না – ওর নিজের দিক থেকে ওকে সম্পূর্ণ করে তুলতে হবে, এই ভার তোরই উপর। ‘

একইভাবে ১৯১৪ সালে প্রতিমা দেবীকে রবীন্দ্রনাথ এক চিঠিতে লেখেন,
‘ তোমাদের পরস্পরের জীবন যাতে সম্পূর্ণ এক হয়ে ওঠে সেদিকে বিশেষ চেষ্টা রেখো। মানুষের হৃদয়ের যথার্থ পবিত্র মিলন, সে কোনোদিন শেষ হয় না – প্রতিদিন তার নিত্য নতুন সাধনা। ঈশ্বর তোমাদের চিত্তে সেই পবিত্র সাধনাকে সজীব করে জাগ্রত করে দিন, এই আমি কামনা করি। ‘

রবীন্দ্রনাথের জীবদ্দশায় প্রতিমা দেবী তাঁর সেবায় নিযুক্ত থাকতেন। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তাঁর সেবার ইচ্ছুক ব্যক্তির কমতি ছিল না, বরং আধিক্যই ছিল। কিন্তু অত্যন্ত সংবেদনশীল রবীন্দ্রনাথ সবার সেবা নিতে পারতেন না। প্রতিমা দেবী রবীন্দ্রনাথের রুচি ও মনমানসিকতা বুঝতেন, তিনি তাঁর সেবায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। রথীন্দ্রনাথকে লেখা এক চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, ‘ বৌমাকে বলিস তিনি যেন আমাকে তাঁর একটা অসুস্থ শিশুর মত দেখেন। ‘

পুত্রবধূ একাধারে রবীন্দ্রনাথের সেবক ও অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। কিন্তু এ ‘ অসুস্থ শিশু’কে সময় দিতে গিয়ে তিনি নিজের স্বামীকে তাঁর প্রাপ্য সময় থেকে বঞ্চিত করেননি তো?
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় রথীন্দ্রনাথকে নিয়ে ‘ আপনি তুমি রইলে দূরে সঙ্গ নিঃসঙ্গতা ও রথীন্দ্রনাথ ‘ নামে একটি মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেখানে তিনি রথীন্দ্রনাথের বিষন্নতায় আবৃত রথীন্দ্রনাথের ছবিগুলো সম্পর্কে লিখেছেন,

‘ নিজে অহরহ অসুস্থ থেকেও প্রতিমা তাঁর ‘ বাবমশায় ‘- এর যত্নে কোনও কার্পণ্য করননি। রবীন্দ্রনাথের ক্রমবর্ধমান পরিচিতি ও তাঁর বিপুল কর্মযজ্ঞ প্রতিমাকে নিরন্তর ব্যস্ত করে রেখেছিল।… রথীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথের আলোকচিত্রগুলো দেখলেও মনে হয়, আনন্দের মুহূর্তেও আশ্চর্য এক বিষন্নতায় আবৃত যেন রথীন্দ্রনাথ। অপার নিঃসঙ্গতায় যেন চির উদাসী তিনি। যেখানেই আলোকচিত্রে প্রতিমা-রথীন্দ্র আর রবীন্দ্রনাথ রয়েছেন, প্রতিমাই যেন বাবামশায়ের অধিক ঘনিষ্ঠ সেখানে। ‘

তিনি আরো লিখেছেন,

‘ রবীন্দ্রনাথের নিরন্তর সেবা করে প্রতিমা রথীন্দ্রের জন্যে কতটা সময় দিতে পেরেছিলেন তার সঠিক ধারণা করা যায় না। মনে হয় রথীন্দ্রনাথ এ বিষয়ে ভিতরে ভিতরে ক্রমশ অভিমানী হয়ে উঠেছিলেন। ‘

পিতার মুত্যুর পর এ ‘অভিমানী’ পুত্রের সামনে আর কোনো মহীরুহ থাকল না। প্রথমবারের মত বিশ্বকবির পুত্রের খোলস থেকে বেরিয়ে রথীন্দ্রনাথ হয়ে উঠলেন ; বিয়ের ত্রিশ বছর পর যখন তাঁর বয়স ৫৩ বছর।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাকাব্য বাদে বাংলা সাহিত্যের সব শাখাতেই অনন্য অবদান রেখেছেন। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর সব টাকা খরচ করে শান্তিনিকেতন এবং উপমহাদেশে কৃষির উন্নতির জন্য কৃষি সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শান্তিনিকেতনকেও তিনি তৈরি করেছিলেন মানুষ গড়ার জন্য ; কেরানি বানানোর কারখানা হিসেবে নয়। দেশ-বিদেশের জ্ঞানীগুণী এনেছিলেন শিক্ষক হিসেবে। জার্মান থেকে এনেছিলেন প্রফেসর তুচ্চিকে এবং ফ্রান্স থেকে এনেছিলেন প্রফেসর সিলভা লেভিকে একথা আমরা অনেকেই জানি।

রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় সন্তান। প্রথম ছিলেন মাধুরীলতা দেবী বেলা (১৮৮৬-১৯১৮)। রথীন্দ্রনাথ ২১ বছর বয়সে ১৯১০ সালে বিয়ে করেন প্রতিমা দেবীকে (১৮৯৩-১৯৬৯) । বিয়ের সময় প্রতিমা দেবীর বয়স ছিল ১৭ বছর। প্রতিমা দেবীর সাথে রথীন্দ্রনাথের বিয়ে বিধবা প্রথার বিরুদ্ধে ঠাকুর পরিবারের প্রথম বিয়ে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবিতকালে তাঁরা দু’জন একত্রবাস করলেও মৃত্যুর পর রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও প্রতিমা দেবী আলাদা হয়ে যান। তাঁরা নিঃসন্তান ছিলেন। নন্দিনী নামক একটি মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথ তাঁকে ডাকতেন পুপে নামে ।

রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৪ মে ১৯৫১ থেকে ২২ আগস্ট ১৯৫৩ পর্যন্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ মারা যাওয়ার পর তাঁর মূল কাজ ছিল, বিশ্বভারতীর ভাঙন ঠেকিয়ে রাখা।

এক সময় তিনি চেয়েছিলেন, বাবার স্বপ্নের প্রতিষ্ঠানকে একটা স্থায়িত্ব দিয়ে যেতে। ১ নভেম্বর, ১৯৪৮ ইলিনয়ে ছাত্রজীবনে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হওয়া ভাষার অধ্যাপক আর্থার সেমুর-এর স্ত্রী মেস সেমুরকে এক চিঠিতে লেখেন, বিশ্বভারতীর কাজ তাঁকে আর আনন্দ দেয় না, নৈতিক কর্তব্য পালনের তাগিদেই সে কাজ করে থাকেন শুধু। বহু বছর ছিলেন কর্মসচিব।

১৯৫১ সালে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হলে, রথীন্দ্রনাথ হন তার প্রথম উপাচার্য।

তারপরই বুঝতে পারেন, কবির আশ্রম থেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে বদলে যাওয়াটা আসলে এক বিপর্যয় ! ক্ষমতার রাজনীতি ছিলই, তার সঙ্গে এরপর যোগ হয় বিশ্বভারতীতে নিয়মের ঘেরাটোপ !

রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর আসে ব্যক্তিগত আক্রমণ। নানান কুৎসায় নাজেহাল হয়ে যান তিনি । তাঁকে আর্থিক অনিয়মের মিথ্যে অভিযোগ দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টাও করা হয়। বাঁচান আদালত।

যাইহোক, রবীন্দ্রনাথ কবি হয়েও চেয়েছিলেন বাংলার কৃষক শ্রেণিকে রক্ষা করতে। আর তাই একমাত্র পুত্রকে কৃষিবিদ্যা পড়তে পাঠিয়েছিলেন আমেরিকায়। রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর পিতৃস্মৃতি ,আমার বাবা রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর বিষয়ে একটি বই লিখেছেন। এছাড়া পিতার ইচ্ছাক্রমে, তাঁর জীবনব্রতকে যথাসাধ্য সফল করে তোলার ইচ্ছা নিয়ে তিনি বিশ্বভারতীর কাজে যোগ দিয়েছিলেন।

১৯১৮ সালে আশ্রমের ছাত্র নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, পরে রথীন্দ্রনাথের ডাকে বিশ্বভারতীর ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৩৮ সালে । রথীন্দ্রনাথের চেয়ে একত্রিশ বছরের ছোট ছিলেন নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী মীরা চট্টোপাধ্যায় । তাঁর সঙ্গে রথীন্দ্রনাথের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং মীরা চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে ছোট একটা মেয়ে ছিল। এই সম্পর্কের ব্যাপারে কেউ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর কাছে অভিযোগ করেছিলেন। নেহেরু এই দম্পতিকে শান্তিনিকেতন থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়ার মৌখিক নির্দেশনা দেন। এটি জানার পর রাগে-অভিমানে বিশ্বভারতীর কলুষিত পরিবেশ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার জন্য রথীন্দ্রনাথ ১৯৫৩ সালে পদত্যাগ করেন। শান্তিনিকেতন থেকে চলে যাবেন এই সময় নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছে থেকে মীরা চট্টোপাধ্যায়কে নেয়ার জন্য একটি চিঠি লেখেন । নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রাজী হন। তারপর বিশ্বভারতী থেকে বিদায় নিয়ে দূরে দেরাদুনে মীরা চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে চলে যান। আমৃত্যু সেখানেই কাটান তিনি। নির্মলচন্দ্র দেরাদুনে মাঝে মাঝে গিয়ে মেয়েকে দেখে আসতেন।

১৯৪১ সালে রবীন্দ্রনাথ মারা যাওয়ার কিছুদিন পর থেকে প্রতিমার সাথে বিচ্ছিন্ন থাকতেন। কিন্তু উভয়েই শান্তিনিকেতনেই ছিলেন। মীরা চট্টোপাধ্যায়ের সাথে সম্পর্কের পর চিরতরে শান্তিনিকেতন থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে যান তিনি। প্রতিমা শুধু একটি অনুরোধ করেছিলেন যেখানেই থাকুন না কেন ভালো আছেন শুধু এই কথাটি যেন জানতে পারি। তাঁর সেই অনুরোধ রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাঝে মাঝে চিঠি লিখে রক্ষা করেছিলেন। নীড়হারা পাখির মতো রথীন্দ্রনাথের হৃদয়ের উচ্ছ্বাসভরা প্রেম আর নিঃসীম একাকীত্বের মর্মান্তিক বেদনাবিধুর জীবন রবীন্দ্রনাথ দেখলে খুব কষ্ট পেতেন । হয়তো এ কারণেই আগেই তিনি বিদায় নিয়েছিলেন। ১৩ জুন ১৯৬১ সালে ৭২ বছর ৬ মাস বয়সে দেরাদুনে মারা যান রথীন্দ্রনাথ । ১৩ জুন ৭৬ বছর বয়সে ১৯৬৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন প্রতিমা দেবী।
———————————————————-
তথ্যসূত্র –
১-আমার বাবা রবীন্দ্রনাথ – রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
২- আপনি তুমি রইলে দূরে সঙ্গ নিঃসঙ্গতা ও রথীন্দ্রনাথ –
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
৩-আনন্দবাজার পত্রিকা
৪-রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর: জন্মশতবর্ষপূর্তি-শ্রদ্ধার্ঘ্য -অনাথনাথ দাস সম্পাদিত ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *